রাজশাহীতে সুদ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

রাজশাহীতে সুদ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

রাজশাহীতে সুদ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ
রাজশাহীতে সুদ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর পবা উপজেলার মোছাঃ হাসিনা বিবি (৩০) নামের এক গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মোছাঃ হাসিনা বিবি পারিলা ইউনিয়নের তেবাড়ীয়া গ্রামের মোঃ আমিরুল ইসলামের স্ত্রী।

অভিযোগ বরাত দিয়ে জানা যায়, (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাড়ির বাইরে টয়লেটে যান হাসিনা বিবি। ওই সময় ওঁৎ পেতে থাকা একই এলাকার মৃত আনিস আলীর ছেলে লম্পট মোঃ জামাল উদ্দিন (৪০) হাসিনা বিবিকে জড়িয়ে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় হাসিনা বিবি চিৎকার শুরু করেন। তার চিৎকার শুনে ছেলে মোঃ হাসিব ও তার স্বামী আমিরুল ইসলাম ঘর থেকে বেরিয়ে আসলে পালিয়ে যায় লম্পট জামাল উদ্দিন।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী হাসিনা বিবি বাদি হয়ে পবা থানার একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

এ ব্যপারে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে পবা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুম মুনির বলেন, গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পেয়েছি। এসআই জাহাঙ্গীর বিষয়টি দেখছে আপনি তার সাথে যোগাযোগ করেন।

শনিবার রাত সাড়ে ৭টায় মুঠোফোনে জানতে চাইলে এসআই জাহাঙ্গীর বলেন, প্রকৃতির ডাবে সাড়া দিতে গৃহবধূ টয়লেটে যায়। ওই সময় অসৎ উদ্দেশ্যে টয়লেটের কাছে জামাল গেলে পালিয়ে যায় গৃহবধূ। এরপর গৃহবধূর ডাক চিৎকারে তার স্বামী, সন্তান আসলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় জামাল। তবে তার উদ্দেশ্যো ভাল ছিলোনা বলে জানান এসআই জাহাঙ্গীর।

তিনি আরও বলেন আমি ২/১ দিনের মধ্যে আবারও ঘটনাস্থলে যাবো। এরপর বিস্তারিত জানাবো।

একাধিক স্থানীয়দের অভিযোগ, জামাল উদ্দিন একজন অসাধু ও ভয়ঙ্কর প্রকৃতির মানুষ। সে একজন পেশাদার সুদ কারবারী। সুদে টাকা দিয়ে সাধারন মানুষকে নির্যাতন ও হয়রানী তার নিত্যদিনের ঘটনা। নিজ এলাকায় তার নেতৃত্বে রয়েছে একদল গুন্ডা বাহিনী। তাদের অর্থের যোগানদাতা এই জামাল উদ্দিন।

সে এলাকার নিরীহ গরিব মানুষদের সুদে টাকা দেয়। আর সুদের টাকা দিতে না পারলে গরিব পরিবারের নারীদের উপর কুদৃষ্টি দেয়। এর আগে তার কারনে (২০) এক যুবতীর সংসার ভেঙ্গে গেছে বলে জানা যায়।

এছাড়াও জামাল উদ্দিন তার এক আত্নীয়কে অসৎ উদ্দেশ্যে জড়িয়ে ধরেন। ওই সময় গৃহবধূর চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন তাকে ধরে গণধোলাই দেয়। পরে জামাল উদ্দিন সেখান থেকে পালিয়ে প্রানে রক্ষা পায়। এ ধরনের অনেক অভিযোগ রয়েছে লম্পট জামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে। তবে জামাল উদ্দিনের রয়েছে দাম্ভিকতা। সে প্রকাশ্যে বলে আমার টাকা আছে। অতএব আমার কেউ কিছু করতে পারবেনা। আমার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললে তাকে ছেড়ে দেবো না বলেও জানায় স্থানীয়রা।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply